রুদ্ধশ্বাস জয় বাংলাদেশের

Social Share Buttons

জয়ের জন্য শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রথম বলে মিরাজ চার হাঁকালেও পরের তিন বলে তিন বাংলাদেশি ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন আফগান পেসার করিম জানাত। তবে পঞ্চম বলে ব্যাটিংয়ে এসে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল ইসলাম।

ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নবির ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান তুলে আফগানিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১ বল ও দুই উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ফজলহক ফারুকির করা প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন শান্তরাও। ১২ বলে ১৪ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ১৯ বলে ১৮ রানে লিটন কুমার দাস সাজঘরে ফেরেন। সাকিব ফেরেন ১৯ রানে।

পঞ্চম উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। মূলত জয়ের ভিত্তি তখনই পেয়ে যায় টাইগাররা। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৭৩ রানের মহামূল্যবান জুটি। জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি শামীম। রশিদের বলে আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ২৫ বলে ৩৩ রানে। এদিকে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।

সিলেটে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকলেও শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় সফরকারীরা। তৃতীয় ওভারে নাসুমের বলে জাজাই ও চতুর্থ ওভারে তাসকিনের বলে ফেরেন গুরবাজ। জাজাই ৮ ও গুরবাজ ১৬ রান করেন।

দ্বিতীয় উইকেটে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইব্রাহিম জাদরানও। তিনি ফেরেন ৮ রানে। আর সাকিব আল হাসানের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে মাত্র ৩ রান করেন করিম জানাত। ২৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন নাজিবুল্লাহ জাদরান।

এদিকে একাই লড়াই চালিয়ে যান দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবি। শেষদিকে তাকে সঙ্গ দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাদের দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় আফগানরা। ৩৩ রানে আউট হন ওমরজাই। আর ফিফটি পূরণের পর ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন নবি।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। একটি করে উইকেট নেন পাঁচজন বোলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *