![](http://topheadline24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলায় মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ১০ শতাংশ বা ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি হবে, সেই পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। ইতোমধ্যে তা কার্যকর করা হয়েছে। আগে ব্যাংকগুলোকে মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ১০ শতাংশ বা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে হতো।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। জুন ত্রৈমাসিক থেকেই ব্যাংকগুলোকে নতুন নিয়মে মূলধন সংরক্ষণের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, নতুন ব্যাংক স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূলধন ইতোমধ্যে ৪০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। দেশে প্রচলিত ব্যাংকগুলোকেও এখন থেকে তাদের মূলধন কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে।
ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বেশি হলে মূলধনও বেশি রাখতে হবে। এটি হবে ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন কাঠামো। এতে যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেশি, ওইসব ব্যাংক বেশি চাপে পড়বে।
কারণ, একদিকে তাদের খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হবে, অন্যদিকে মূলধন বেশি রাখতে হবে। সরকারি ব্যাংকসহ ৫টি বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের ওপরে রয়েছে। ফলে ওইসব ব্যাংকের মূলধন বেশি বাড়াতে হবে।
এদিকে বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক মন্দায় ব্যাংকগুলোর নিট আয় কমে গেছে। অন্যদিকে ঋণ আদায় না হওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়েছে। এছাড়া তারল্য সংকটও রয়েছে।