উপস্থাপনার পাশাপাশি অভিনয়েও দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন মিষ্টি মেয়ে মৌসুমী মৌ। তার দরুণ এবার সেরার কৃতিত্ব অর্জন করে নিলেন। সদ্য মরক্কোতে অনুষ্ঠিত হওয়া ৩৫তম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার উৎসবে অংশ নিয়ে সেরা নারী পারফরমারের স্বীকৃতি পান এই সুন্দরী।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন (ডুমা) ‘অস্বীকৃতি’ দিয়ে এ সম্মাননা পান মৌ। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের দলনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাওহিদা জাহান। ‘অস্বীকৃতি’ প্রদর্শনীটির রচনা ও নির্দেশনায় আছেন মীর লোকমান ও শাহরিয়ার শাওন। অভিনয় করেছেন মৌসুমী মৌ, মো. মেহেদী হাসান সোহান, শাহরিয়ার শাওন এবং মীর লোকমান।
মৌসুমী মৌ বলেন, ‘ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, তিউনিসিয়া, সৌদি আরব ও মরক্কো দলে নারী পারফরমারের সংখ্যা বেশি। সেখানে আমি সেরা নারী পারফরমার হব, কল্পনাও করিনি। আমাদের দলপ্রধান তাওহীদা জাহান ম্যাম সব সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। মনোনয়ন ঘোষণার সময়ই তিনি নাকি বুঝে গেছেন, আমি পুরস্কার পাব। কৃতজ্ঞতা আমার মাইমগুরু মীর লোকমান, অস্বীকৃতির ডিরেক্টর শাহরিয়ার শাওন ও আমার পুরো টিমকে।’
‘পরিবেশনার শেষ দিনে আয়োজকদের একজন কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক খালিদ লাহলো বলেছিলেন, ‘সাচ আ ব্রিলিয়ান্ট অ্যাকট্রেস ইউ আর।’ এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি।’-যোগ করেন অভিনেত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘১১ বছর ধরে মূকাভিনয় করছি। পেশায় একজন উপস্থাপক হলেও জীবনে যে কয়টা দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, তা মূকাভিনয়ের বদৌলতে। এবারের আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানের মুহূর্তটা আমার কাছে এখনো স্বপ্নের মনে হচ্ছে।’
মরক্কোর প্রাচীন শহর কাসাব্লাংকায় অবস্থিত দ্বিতীয় হাসান ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় ৩৫তম নাট্যোৎসব। এতে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, মরক্কো, তিউনিসিয়া ও সৌদি আরবের শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের শিল্পীরা।
মীর লোকমানের হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘না বলা কথাগুলো না বলেই হোক বলা’ স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন (ডুমা)। ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে সাত শতাধিক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে সংগঠনটি।