ভারতীয় নারী দলকে হারিয়েই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ জিতলেও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয়ের কোনো নজির ছিল না বাংলাদেশের। এবার সেটাই করে দেখালেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ভারতকে ৪০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল টাইগ্রেসরা।
মাত্র ১৫৪ রানের টার্গেট দিলেও শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। নিতে থঅকে একের পর এক উইকেট। মাত্র ৪৪ রানে চার উইকেট হারানোর পর সাময়িক বিরতিতে পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। তাতেই চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। প্রিয়া পুনিয়া ১০, শ্রীমতি মান্ধানা ১১, হার্মানপ্রিত কৌর ৫ ও ইয়াসতিকা বাটিয়া ১৫ রান করেন।
সুবিধা করতে পারেননি জেমিমা রদ্রিগেজও। তার ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখায় দিপ্তী-আমানজোত জুটি। কিন্তু টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তারের এক ওভারেই সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। টানা দুই বলে দুই ব্যাটারকে ফেরান তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলে আরও একজনকে আউট করেন নাহিদা। তাতেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে থামে ভারত।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি ৪৩ ওভারে হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় দলনেতা হার্মানপ্রিত কৌর। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৮ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরের পথ ধরেন শারমিন আক্তার। আর ১৩ রান করেন মুর্শিদা খাতুন।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ফারজানা হক পিংকি ও নিগার সুলতানা জ্যোতি। দুজন মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ৪৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন পিংকি। ৮ রানে ফেরেন রিতু মনি। আর দলনেতা জ্যোতির ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
এরপর নাহিদা আক্তার ২, সুলতানা খাতুন ১৬ ও মারুফা ৬ রান করেন। আর ১২ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিমা খাতুন। ফলে বাংলাদেশের ইনিংস দাঁড়ায় ১৫২ রানে।