ইসলামের প্রতি বিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে লিখলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মো. তাহসিন আলম (২০) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। যা এলাকার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্বহস্তে লেখা কোরআন শরিফটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছেন তার বাড়িতে।
কোরআন শরিফটি লিখতে ছয়শ’র অধিক এ ফোর সাইজের কাগজ ও অর্ধশত কলমসহ আরও অনেক উপকরণ লেগেছে তাহসিনের। স্বহস্তে কুরআন শরিফটি লিখতে দীর্ঘ এক বছর এক মাস সময় লেগেছে তার। পড়ালেখা ও ঘরের টুকটাক কাজ ছাড়া বাকি সময়টি তিনি পবিত্র এই ধর্মগ্রন্থটি লিখেতে ব্যয় করতেন।
মো. তাহসিন আলম কালবেলাকে বলেন, ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল কোরআনে হাফেজ হওয়ার। কিন্তু কোনো কারণে হাফেজ হতে না পারলেও সেই ইচ্ছাকে সব সময় মনের মধ্যে লালন করতাম। এ ছাড়া বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমার বয়সী ছেলেরা যখন ফেসবুক ও মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গেইমে আসক্ত হয়ে প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা সময় অযথা ব্যয় করছে তখন সেই সময়টি কাজে লাগিয়ে নিজের হাতে কোরআন শরিফ লিখেছি।
তাহসিন আরও বলেন, গত বছরের জুন মাসের ১৯ তারিখ থেকে সহস্তে কোরআন শরিফ লেখা শুরু করি। চলতি বছরের জুলাই মাসের ২৮ তারিখে লেখা শেষ হয়।
এ সময় এর চেয়ে ভালো কিছু করার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
তাহসিনের পিতা মোহাম্মদ রফিকুল আলম কালবেলাকে বলেন, পড়ালেখা ও সাংসারিক টুকিটাকি কাজ ছাড়া বাকি সময়টাতে সে কোরআন শরিফ লিখতে বসে যেত। অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত কোরআন শরিফ লিখেছেন। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
শীতলপুর গাউছিয়া ইসলামি দাখিল মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক মাওলানা গাউসুল ফারুক কালবেলাকে বলেন, বর্তমান যুগে তার বয়সী অনেক ছেলে মোবাইল আসক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাদের তুলনায় সে ভিন্ন। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
বর্তমানে মো. তাহসিন আলম জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল প্রথম বর্ষে ও চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মিজান উদ্দিন
Copyright © 2024 Topheadline. All rights reserved.