আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ১৫টি বিসিএসে বাদ পড়া ২৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েও ভেরিফিকেশনের কারণে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপনে তাদের নাম আসেনি।
বুধবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব প্রার্থীকে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ২৮তম থেকে ৪২তম বিসিএস পর্যন্ত পিএসসির সুপারিশক্রমে ২৫৯ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশিকা পদে জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব প্রার্থীকে দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিশকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে। নির্ধারিত তারিখে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন মর্মে ধরে নেওয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
নিয়োগের সময় এসব প্রার্থীকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড স্বাক্ষর করতে হবে যে যদি তিনি শিক্ষানবিশকালে অথবা শিক্ষানবিশকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে দেওয়া বেতন-ভাতা ও প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় করা সব অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন।
নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে ২৮তম বিসিএসে সাতজন, ২৯তম বিসিএসে একজন, ৩০তম বিসিএসে একজন, ৩১তম বিসিএসে আটজন, ৩২তম বিসিএসে দুজন, ৩৩তম বিসিএসে ২২ জন, ৩৪তম বিসিএসে ১৮ জন, ৩৫তম বিসিএসে ২৬ জন, ৩৬তম বিসিএসে ৫৩ জন, ৩৭তম বিসিএসে ৪০ জন, ৩৮তম বিসিএসে ১৮ জন, ৩৯তম বিসিএসে ৪১ জন, ৪০তম বিসিএসে ৬ জন, ৪১তম বিসিএসে একজন এবং ৪২তম বিসিএসে ১৫ জন নিয়োগ পেয়েছেন।