প্রশাসনিক কর্মকর্তার ভয়ংকর সংকটে ভুগছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। বর্তমানে এ পদে ৭৭ শতাংশই কর্মকর্তা শূন্য। নির্বাচন কমিশনের অর্গানোগ্রামে কমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে ৪৮টি। কিন্তু এই পদের বিপরীতে বর্তমানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছেন ১১ জন। শূন্যপদ রয়েছে ৩৭টি। যার ফলে পদোন্নতির মাধ্যমে এ সংকট থেকে রেহাই পেতে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি ইসির মাসিক সমন্বয় সভায় এ সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। ইসির কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে অনেক স্টোনেগ্রাফারকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে এ পদে কাজ চালানো হচ্ছে। তাই এ পদে পদোন্নতি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক দেবনাথ এ বিষয়ে জানান, ১০ম গ্রেডের শূন্যপদগুলোতে জনবল পদায়ন না থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় নানা অসুবিধা হচ্ছে। তাই নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে ৪০ শতাংশ পদে পদোন্নতির মাধ্যমে ১০ম গ্রেডের পদ পূরণ করা প্রয়োজন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভাতে আলোচনা হয়েছে। সেখানে পদোন্নতির বিষয়ে একমত পোষণ করেছে সবাই। পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম পদটিতে পদোন্নতির কার্যক্রম হাতে নিতে ইসির প্রশাসন বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
এদিকে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা নির্বাচনকালীন আপ্যায়ন ভাতা পেলেও মাঠ কর্মকর্তারা তা পেতেন না। এজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করছে সংস্থাটি। নীতিমালাটি অনুমোদন পেলে মাঠ কর্মকর্তারাও আপ্যায়ন ভাতা পাবেন বলে জানা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মিজান উদ্দিন
Copyright © 2024 Topheadline. All rights reserved.