সংকটের সময়ে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বার্নড স্পানিয়ের।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্পানিয়ের বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকবে। সংকটকালীন সময়ে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতা ইউরোপের কোনো দেশে আশ্রয় চাইলে সেটা সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিবেচনা করবে। কূটনৈতিক মিশনগুলোতে সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় সরকারকে ধন্যবাদও জানান স্পানিয়ের।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মূলত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে ৭ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ উপদেষ্টা শপথ নেন। বাকি তিনজন দেশের বাইরে থাকায় তারা ওই সময় শপথ নিতে পারেননি। পরবর্তীতে রোববার (১১ আগস্ট) আরও দুই উপদেষ্টা শপথ নেন। ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উপদেষ্টারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। এর মধ্যেই দেশের প্রায় সব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন সবার দৃষ্টি হলো দেশে নির্বাচন কবে হবে। এমন পরিস্থিতিতে এখনো নির্দিষ্ট করে কেউ কোনো সময়ের কথা বলতে না পারলেও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছে অনেকেই।
এছাড়াও নতুন সরকারকে নিয়েও চলছে নানা কথা। প্রশ্ন উঠছে কূটনীতিক সম্পর্ক নিয়ে। তবে প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে ভিন্ন বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীনের মতো দেশগুলো।
বাংলাদেশের সঙ্গে বেইজিং কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, আগের মতোই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাবে না চীন। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, শান্তিশৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রও নতুন এই সরকারকে স্বাগত একসঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে।