এবারের হজ অন্যরকম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার প্রায় ১৮ লাখের বেশি মুসলিম হজ করেছেন। যাদের মধ্যে ছিলেন সব শ্রেণীর মুসলিম। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনির অসহায় মানুষও ছিলেন। এবার করোনার পর উন্মুক্ত পরিবেশেষে হজ অনুষ্ঠিত হয়। কোনো প্রকাশ বিধিনিষেধ ছিল না। তবে হাজীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ছিলো চোখে পড়ার মত।
এদিকে সম্প্রতি শেষ হয়েছে পবিত্র হজ। সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ এবারের হজ পালন করেন। হজ শেষে ও মদিনায় মহানবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করে নিজেদের দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। বেশ কয়েকটি জিনিস নেওয়ার ক্ষেত্রে হাজিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেগুলো হাজিদের লাগেজে থাকলে সৌদি আরবের বিমানবন্দরে রেখে দেওয়া হবে।
সৌদি আরবের রাজধানী জেদ্দার কিং আব্দুলআজিজ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দেশ ফেরত হাজি বা সাধারণ যাত্রীদের কারও লাগেজে ‘নির্দিষ্ট ৩০টি পণ্য’ পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করা হবে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সকল যাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, এসব পণ্য ফেরত পাওয়ার জন্য কোনো দাবি করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে হাজিদের বিশেষভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
এ ৩০টি পণ্যকে আবার দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি পণ্য নিয়ে (হাতে বহন করা যায় লাগেজে নিয়ে) বিমানের কেবিনে ওঠা যাবে না। আর ১৪টি পণ্য কোনোভাবেই কোনো লাগেজে করে বিমানে বহন করা যাবে না।
১৬টি পণ্য হলো-
– ব্লেড
– বিষাক্ত তরল
– সঙ্কুচিত গ্যাস
– সেনাবাহিনীর ছুরি
– আগ্নেয়াস্ত্র
– বিস্ফোরক
– আইস স্কেট
– বেসবল ব্যাট
– পেরেক
– টুলস
– দ্রাবক
– তেজস্ক্রিয় পদার্থ
– গোলাবারুদ
– মাংস ক্লেভার
– ছুরি
– কাঁচি
বাকি ১৪টি পণ্য হলো-
– তরল অক্সিজেন ডিভাইস
– হোভারবোর্ড
– ইলেক্ট্রো শক
– তেজস্ক্রিয় পদার্থ
– অক্সিডাইজার বা জৈব পারক্সাইড
– বিস্ফোরক
– সংকুচিত গ্যাস
– দাহ্য তরল পদার্থ
– ম্যাচ এবং লাইটার
– বিষাক্ত বা সংক্রামক পদার্থ
– দ্রাবক
– চুম্বকীয় উপকরণ
– আগ্নেয়াস্ত্র
– সিকিউরিটি-টাইপ ক্যাশ বাক্স, ব্যাগ বা অ্যাটাচ কেস
সূত্র: এরাবিয়ান বিজনেস