ঢাকা: ডেঙ্গুতে কর্মক্ষম ব্যক্তি বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মৃত্যুবরণ করছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের মিন্টুরোডের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩’ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের চেষ্টা করছি, হাসপাতালে বেডের কোনো ঘাটতি নেই, আমরা আরও বেডের সংখ্যা বাড়িয়েছি। ঢাকার বাইরে আমরা পাঁচ হাজার বেডের ব্যবস্থা রেখেছি, সেখানেও বেশ কিছু রোগী ভর্তি আছে। আমরা জানি মশা না কমলে, ডেঙ্গু কমবে না। মশার কামড়েই লোকের ডেঙ্গু হচ্ছে। আমরা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে তাগিদ দিচ্ছি, তারা যেন বেশি করে স্প্রে করে। যে ওষুধটা ব্যবহার করা হয়, সেটা যেন কার্যকরী হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওষুধ কার্যকরী হচ্ছে না, আমরা সেই বিষয়টাও বলেছি, একই ওষুধ বার বার ব্যবহার করলে, হয়তো সেই ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়, সেটাও আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে বলেছি। পাশাপাশি মিল কলকারখানা, হাসপাতালে যেখানে আছে, সেখানেও স্প্রে করতে হবে। আমরা সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান করেছি, তারা যেন তাদের প্রতিষ্ঠানে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করে। তাদের কর্মচারী যেন ডেঙ্গু আক্রান্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছি। বাসা-বাড়িও পরিষ্কার করলে আমি মনে করি ডেঙ্গু কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, এখন ডেঙ্গু বাড়তি, আগামীতেও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটাও আমরা গত তিন বছর ধরে লক্ষ্য করছি আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এখানে ডেঙ্গু বাড়তি থাকবে। বৃষ্টি বেশি থাকলে, মশা বেশি থাকবে। গরম বেশি থাকলে এডিস মশা বেড়ে থাকে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবাই মিলেই কাজ করতে হবে। অবশ্যই কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানের দায় বেশি থাকে, মশা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব আমাদের যে পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন রয়েছে তাদের বেশি দায়িত্ব, তারা স্প্রে বেশি করে করলে মশা কমে আসবে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চিকিৎসা দেওয়া, সেটা আমরা দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে কোনো সমস্যা নেই।
ডেঙ্গুর টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেঙ্গু টিকার কার্যকরিতা কম, টিকার যদি ব্যবস্থা হয়, আমরা সেটা অবশ্যই আনবো এবং আমাদের জনগণকে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।