বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেয়েছেন ৪৮ জন শিক্ষার্থী।
রোববার (৯ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এই ফেলোশিপ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন ৩৮ জন মাস্টার্স এবং ১০ জন পিএইচডি করার জন্য ফেলোশিপ পেয়েছেন। এই ফেলোশিপপ্রাপ্তদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের ছেলেমেয়েদের একটা কথাই শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য আমরা কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। একটাই সম্পদ, সেটা হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
তিনি বলেন, কোনো ধন-সম্পদই কাজে আসে না। একটা জিনিসই কাজে আসবে, সেটা হচ্ছে শিক্ষা। এবার কোভিড-১৯ এর সময় নিশ্চয়ই একটা শিক্ষা হয়েছে যে, অর্থ-সম্পদ সবসময় কাজেও লাগে না। কিন্তু বিদ্যা যদি থাকে, কিছু-না কিছু করে খাওয়া যাবে।
সিভিল সার্ভিস, শিক্ষাবিদ এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ চালু করা হয়। এখন পর্যন্ত ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন।
পিএইচডির জন্য আবেদনকারীদের প্রথমে বিশ্বে সর্বোচ্চ ১০০ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর মাস্টার্সের জন্য আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ ২০০ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে ফেলোশিপের জন্য আবেদন করা যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিআইইউর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ।