লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা সজিব হোসেন হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক। পুলিশ বা কারও গুলিতে নয়, ধারালো অস্ত্র বা ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ। বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সজিব আহত অবস্থায় ফিরোজা ভবন নামে একটি বাসায় ঢুকে পড়ে। মৃত্যুর আগে সেখানকার এক ব্যক্তির সঙ্গে সজিবের কথা হয়েছে। সজিব ওই ব্যক্তিকে বলেছে, তিনি বিএনপির প্রোগ্রামে আসেননি। চার-পাঁচজন লোক তাকে কুপিয়েছে। তার কাছে তারা টাকা পায়। তিনি বিয়েও করেছেন। এরপর সজিব আর কোনো কথা বলতে পারেননি। ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা ৯৯৯-এ কল করে সজিবের চিকিৎসার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চান। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স চালককেও কল করেন। কিন্তু বিএনপির হামলার ঘটনার কারণে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যেতে পারেননি।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগেই প্রচুর রক্তক্ষরণে সজিব মারা যান। বিএনপির হামলায় ২৫-৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তারা হাসপাতাল ও দোকানঘর ভাঙচুর করেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
তবে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসপি। নিহত সজিব লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মিজান উদ্দিন
Copyright © 2024 Topheadline. All rights reserved.