বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সড়কে যান চলাচলেও ফিরেছে শৃঙ্খলা। সড়কে ট্রাফিক পুলিশকে দেখা না গেলেও যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। জেলার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে সড়কের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করেছেন তারা।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজার, উত্তর তেমুহনী (শহিদ আফনান চত্বর), দক্ষিণ তেমুহনী (শহিদ মাসরুর চত্বর), ঝুমুর (বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চত্বর)সহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের দেশকে এখন গোছানোর পালা। যেহেতু এখনো কোনো সরকার গঠন হয়নি, এ মুহূর্তে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশও নেই। রাস্তায় যেন যান চলাচলে সমস্যা না হয় তাই আমরা শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। এ ছাড়া জেলার ভাঙচুরের ধ্বংসস্তূপগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছি আমরা।
শিক্ষার্থীদের এমন কাজের প্রশংসা করেছেন পথচারী যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে দেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করেছেন। তাদের চেষ্টায় দেশের আগামীও বদলে যাবে।
এদিকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও লুটপাট এড়াতে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী ও এলাকাবাসী। এদিন সকাল থেকে মেজর সানজিদের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা কালি বাড়ি, ইসকন মন্দির, শ্যাম সুন্দর জিউ আখড়াসহ শহরের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া রাত জেগে এলাকা ও মন্দিরগুলো পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।