লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহনে মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চর দখলকে কেন্দ্র করে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার, গরুসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
লুটেরাদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন - হাবিল মাঝি, ঝুনু আক্তার, জোহরা বেগম, খালেদা বেগম।
শনিবার (২৯ জুলাই) রাত ১টার দিকে চররমনী মোহনের মেঘনা নদীর উপকূলীয় বিচ্ছিন্ন চর চরমেঘাতে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে চরের বাসিন্দা নিজাম মাতাব্বর, শাহ সর্দার ও মুসলিমের তিনটি বসতঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আরও চারটি ঘর আংশিক পুড়েছে।
চরের বাসিন্দারা জানান, লক্ষ্মীপুরের উত্তর চররমনী মোহন ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরমেঘায় প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। চরের জমিতে কৃষিকাজ ও গবাদি পশু পালন করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ভোলার কিছু লোক চরটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে চরের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রায় দুই বছর আগে চরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে দুই পক্ষের দুইজনের প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুর এবং ভোলার আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে।
চরের বাসিন্দারা আরও জানান, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে চর দখল নিতে শনিবার গভীররাতে ভোলার বাসিন্দা মিন্টা খাঁ, হালিম মিয়া, রাসেল উদ্দিন ও রশিদ আহনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক এসে সাতটি বাড়িঘরে আগুন দেন। এতে তিনটি ঘর পুরোপুরি পুড়ে যায়। আগুন দেওয়ার আগে তারা ব্যাপক লুটপাট করেন এবং নয়টি গরু লুটে নেন।
ক্ষতিগ্রস্ত নিজাম মাতাব্বর, শাহ সর্দার ও মুসলিম জানান, ভোলার দস্যু মিন্টা খাঁর নেতৃত্বে তাদের ঘরে আগুন ও হামলা চালানো হয়েছে। এতে তারা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এর আগেও চর দখল নিতে তারা রাকিব নামে চরের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মিজান উদ্দিন
Copyright © 2024 Topheadline. All rights reserved.