লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার নতুন বাজার থেকে মহিলা কলেজের শেষ সীমানা গেট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক চার বছর ধরে সংস্কার হচ্ছে না। এতে সড়কের পিচ উঠে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে গ্রীষ্মকালে থাকে ধূলাবালি, আর বর্ষায় কাদা। মাত্র দুই কিলোমিটার সড়কটির এমন অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারও মানুষ। একই অবস্থা সোলাখালী ব্রিজের পর থেকে হায়দরগঞ্জ বাজার থেকে।
গত কিছুদিন আগে রায়পুর মেয়রের সাথে দেখা করে রায়পুর নতুন বাজার এলাকার আশ্রাফগঞ্জ সোসাইটি নামে একটি সংগঠন। সড়কটি দ্রুত সংস্কারে লিখিত আবেদন করেছেন তারা।
জানা গেছে, যোগাযোগ সহজ হওয়ায় নতুনবাজার মহিলা কলেজ সড়ক দিয়ে লক্ষাধিক মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করেন। বাস, ট্রাক, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ হাজারও যানবাহন চলে এ সড়ক দিয়ে।
এই সড়ককে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা বানিজ্য পরিচালিত হচ্ছে পৌরসভার ইজারা নিয়ে ইজারাদাররা ।
অপরদিকে, দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা বায়ে রায়পুর-হায়দরগঞ্জ ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। সড়কের সোলাখালী থেকে হায়দারগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়ক এখন সংস্কার হয়নি। এ সড়কেরও বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় শত শত গর্ত তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তাহসিন হাওলাদার জানান, গরমের দিনে নাক-মুখ ঢেকে ও বর্ষায় পুকুর সাঁতরে পার হতে হয় । বাড়ি থেকে বের হলে গাড়ির চাকার কাদা-পানিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
হায়দরগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী ইলিয়াস হাওলাদার জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে সড়ক মেরামত করা হয় না। বেশি খারাপ হলে মাঝেমধ্যে ইট আর সুড়কি ফেলে। ফলে বৃষ্টি নামলেই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। হয় গর্তে পড়ে যায়, না হয় কাদায় পিছলিয়ে পড়ে যায়।
হায়দরগঞ্জ মডেল কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল হক জানান, এই সড়কে যাতায়াত করলে শরীরের হাড় পর্যন্ত ব্যাথা হয়ে যায়।
চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হাওলাদার বলেন, “সড়কের দুই পাশের পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে থাকে। এতে মানুষের কষ্ট হয়। এমপি ও প্রকৌশলীকে বললেও লাভ হয় নাই।
পৌরসভার মহিলা কলেজের সড়কের বিষয় রায়পুর পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, ‘নতুন একটা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, এটি পাশ হলে সড়ক করা হবে ও মানুষের ভোগান্তিও কমবে।
এলজিইডির রায়পুর উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মুন্সী জানান, বরাদ্দ পেলেই কাজ দ্রুত করা হবে। ফাইল পাঠানো হয়েছে ।