বগুড়ায় পৌনে ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক তিন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ চার জনকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আত্মসাৎ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ জুলাই) বিকালে বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এ রায় দেন। সন্ধ্যায় দুদকের স্পেশাল পিপি আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সোনালী ব্যাংক বগুড়ার দুপচাঁচিয়া শাখার সাবেক ক্যাশ অফিসার আবদুল বারী, আবদুস সালাম ও ইউনুস আলী এবং সাবেক উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান।
আদালত ও দুদক সূত্র জানায়, খলিলুর রহমান সোনালী ব্যাংকের ওই তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি চক্র গড়ে তোলেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে উপজেলার পেনশনধারীদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ পেয়ে ২০১৫ সালে দুদক বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ জানান, চার্জশিট দাখিলের পর ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়। আদালত সোমবার বিকালে চার আসামির উপস্থিতিতে পৃথক তিনটি ধারায় প্রত্যেককে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া আত্মসাৎ করা টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সম্পত্তি ক্রোকের পর বিক্রি করে আদায় করতে বলা হয়েছে। রায় শেষে সাজাপ্রাপ্ত চার জনকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।