হাসপাতাল ভবন, বেজমেন্ট ও স্টোর হাউজসহ ছয়টি স্পটে মশার লার্ভা পাওয়ায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. মনজুরুল হক মডার্ন হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আমিন নেওয়াজকে এ জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন।
এছাড়াও শনিবার করপোরেশনের আওতাধীন বনশ্রী, নবাবগঞ্জ, লালবাগ, আগামাসী লেন, বাংলাদেশ মাঠ, পশু হাসপাতাল, হাজি আবদুল মজিদ লেন, পাঁচ ভাই ঘাট লেন, নাসির উদ্দিন সরদার লেন, স্বামীবাগ, শ্যামপুর বালুর মাঠ, গ্রীন মডেল টাউন, মান্ডা ও মুগদা এলাকায় আরও ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোট তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক ধানমন্ডি-১৫ এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল ও আরেকটি বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পায় এবং আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসিফ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বনশ্রী এলাকায় ৫৬টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২টি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবাবগঞ্জ ও লালবাগ এলাকায় ৫৭টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৩ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের আগামাসী লেন, বাংলাদেশ মাঠ, পশু হাসপাতাল, হাজি আবদুল মজিদ লেন, পাঁচ ভাই ঘাট লেন ও নাসির উদ্দিন সরদার লেনে ১৭৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫টি স্থাপনার বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের স্বামীবাগ এলাকায় ৩৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুর বালুর মাঠ এলাকায় ৬৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীন মডেল টাউন এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৪৮২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৪টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৪ মামলায় সর্বমোট ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।