ঝালকাঠি সদরের ছত্রকন্দায় যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান সানি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। এছাড়া আহত অবস্থায় ১৭ জন ভর্তি আছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার আপডেট মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জেলার ধানসিড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামক এলাকায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভান্ডারিয়া ও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিতে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৪০ জনের মত যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসে বাসটি।
জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ৩ শিশু, ৮ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ।
নিহতদের মধ্যে ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ভাণ্ডারিয়ার সুমাইয়া (৬), তারেক (৪৫), ছালাম মো. (৬০), শাহিন মো. (২৫), রহিমা বেগম (৬০) ও আবুল কালাম, চর বোয়ালিয়ার আব্দুল্লাহ (৮), মেহেন্দিগঞ্জের রিপা মনি (২) ও আয়বিন আহমেদ (২২) এবং রাজাপুরের নয়ন (১৬), খুশবু (১৯) ও খাদিজা বেগম (৫৫)।
এর আগে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ২১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এরমধ্যে ঠিক কতজন বেঁচে আছেন আর কতজন মারা গেছেন সেই তথ্য সঠিকভাবে দিতে পারবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকন্দা নামকস্থানে একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয়রা নিজেরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানান।
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল বলেন, বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা জানা যায়নি। ক্রেন দিয়ে গাড়িটি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনের মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।