হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। প্রতিদিন এ ইমিগ্রেশন দিয়ে কমপক্ষে ৫শ থেকে ৭শ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে। তবে সেবার মান ছাড়াও নানান ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে তাদের।
নানাবিধ কারণে বাংলাদেশ ও ভারত যাতায়াতে যাত্রীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হিলি ইমিগ্রেশন। দেশের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ ভ্রমণ ও চিকিৎসা সেবাসহ নানা কারণে ভারত যাতায়াতে এ ইমিগ্রেশনটি ব্যবহার করেন। এতে করে এ বন্দর দিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা। সেই তুলনায় সেবার মান খুবই খারাপ।
এদিকে, ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, যাত্রী পারাপার বাড়ায় এ বন্দর থেকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আদায়ও। প্রথমে ভ্রমণ কর ছিল ৩শ টাকা, তারপর হয়েছিল ৫শ টাকা। নতুন করে আবার এক হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে সেই তুলনায় যাত্রী সেবার মান থমকে আছে আগের মতই। বসার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ইমিগ্রেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এছাড়াও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার হওয়াসহ নানা সমস্যায় ভাবিয়ে তুলেছে যাত্রীদের। অবিলম্বে এ সেবার মান বাড়ানোর দাবি তাদের।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুল বলেন, যাত্রীর সংখ্যা আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে; কাজেই সেবার মানও বাড়ানো দরকার। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে বন্দরের রাস্তাটি চার লেন করার কাজ চলছে। রাস্তা সম্প্রসারণের কারণে ইমিগ্রেশনের প্রশাসনিক ভবনটি পুরোটাই রাস্তায় চলে যাচ্ছে। তবে ইমিগ্রেশনের নতুন ভবনটি নির্মাণ হলে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সেবার মান বাড়বে। তাতে থাকবে ক্যান্টিন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা; পুরো এলাকায় বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব সেবা বাস্তবায়ন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হিলি কাষ্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছে ২লাখ ৫০ হাজার ৮৩৪ জন। এ সময় ভারত থেকে এসেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩৩ জন এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে ১ লাখ ২৮ হাজার ২০১ জন। এখান থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছ ৬ কোটি ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা।