গেল ২৪ মে ঘোষণার দিন থেকেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতির প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুল জেনারেল জানান, সব ক্যাটাগরির ভিসাই এই নীতির আওতাধীন। বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। এমনকি স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখনই এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে উৎসাহিত করতেই এই ভিসা নীতি। কেউ নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুল জেনারেল নেথান ডি ফ্লুক জানান, আমি যতদূর জানি সেক্রেটারি অফ স্টেট পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, ঘোষণার সময় থেকেই এই ভিসা নীতি কার্যকর হবে। সুতরাং যখন তিনি এই নীতি ঘোষণা করেছেন তখন থেকেই এটা কার্যকর হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশিকে নতুন নীতি অনুযায়ী ভিসা দেওয়া হয়নি সে তথ্য পাওয়া যায়নি।
কনস্যুল জেনারেল আরও জানান, যদি আপনি একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হন এবং যদি দেখা যায় যে আপনি নির্বাচনি প্রক্রিয়া ব্যাহত করেছেন তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসাও দেওয়া হবে না। এমনকি ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যও মার্কিন ভিসা পাবে না।
মার্কিন নীতি অনুযায়ী, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং নানা ভাবে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের মত প্রকাশে বাধা দেওয়া।