চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ১৪ দিনে ৯৯ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশি মুদ্রায় যা ১০ হাজার ৮০২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে)।
রোববার (১৬ জুলাই) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বছরের প্রথম মাসের ১৪ দিনে পাঠানো প্রবাসী আয়ের এই ধারা ইতিবাচক মনে করছে প্রবাসী আয় সংগ্রহকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
গত মাসে (জুন) প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ডলার। একক মাস হিসাবে এ প্রবাসী আয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুতে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। সে বিবেচনায় চলতি বছর প্রবাসী আয়ে শুভ সূচনা হয়েছে।
সূত্রগুলো জানায়, বেশি প্রবাসী আয় দেশে আসার পথে বাধা হুন্ডি। প্রবাসীরা দেশে পাঠানো ডলারের দাম বেশি পেলেই হুন্ডির মাধ্যমে পাঠায়। এ মাধ্যমে দেশে আসা ডলার দেশ থেকে টাকা পাচার ও চোরাকারবারিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রবাসী আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাতে সরকার কয়েক দফা প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম বৃদ্ধি করে। বিদায়ী বছরে শুরুতে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে শুরু হলেও সেপ্টেম্বরে হোঁচট খায়। এ সময় সরকার আরও বেশি কিছু উদ্যোগ নেয়। ফলে প্রবাসী আয় আবার বাড়তে থাকে।
কিন্তু আবারও হুন্ডি কারবারিরা প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বেশি দেওয়া শুরু করলে টান পড়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে। ফলে বিদায়ী বছরের এপ্রিল-জুলাইয়ে প্রবাসী আয় নামে ১৬০ কোটি ডলারে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রবাসী আয়ের ডলারের মূল্য ১০৮ টাকা থেকে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় প্রবাসী আয়। চলতি জুলাই মাসেও ধারা অব্যাহত থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জুলাই মাসের ১৪ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। সরকারি খাতের বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অন্যদিকে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৮২ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।