ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল সংলাপ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো কথা বলেনি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা (ইইউ প্রতিনিধি দল) দেশের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দল সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা চেয়েছে। আমরা তাদের অঙ্গীকার করেছে। তারা বাংলাদেশের সুন্দর নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচনি ব্যবস্থার বিষয়ে তারা আশ্বস্ত হয়েছেন।
শনিবার বনানীর হোটেল শেরাটনে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম ও মোহাম্মদ এ আরাফাত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সংবিধানের যে বিধিবিধান এর কোন ব্যত্যয় আমরা মানি না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো নির্বাচনকালীন সরকার যেভাবে থাকে বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বচানকালীন সরকার গঠিত হবে। সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তাদের সঙ্গে আমাদের পজিটিভ (ইতিবাচক) কথা হয়েছে। বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো সংলাপ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা দেশের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলেছেন।
এর আগে সকাল ১০টায় ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক করতে চাই না। সংলাপ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো ইস্যুতেই তাদের (ইইউ প্রতিনিধি দল) সঙ্গে কথা হয়নি। সংবিধানের বাইরে নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো কিছুই মানি না।
এর আগে গত ১০ জুলাই ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চার নেতা।
গত ৮ জুলাই ইইউর ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে প্রাক নির্বাচনী সফরে। এরই মধ্যে প্রতিনিধি দলটি নির্বাচন কমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলটি বিকালে জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টির সঙ্গেও বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।