লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন টিপুর দুইটি বাসভবনে আগুন দেয়ার ঘটনায় মধ্যরাতে র্যাব ও বিজিবির যৌথ অভিযান হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে উদ্ধারকারী দল। পরে ওই ভবনের ভেতর এবং সামনে থেকে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সবগুলো মরদেহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বলে দাবি করেছে একটি সূত্র। অপরদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আন্দোলনকারীদের ৪ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) এ খবর নিশ্চিত করেন সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. অরূপ পাল। এ সময় আরও অন্তত ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে চেয়ারম্যান ও জীবিত উদ্ধারকৃতরা এখন কোথায় আছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সকালে পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরের উত্তর তেমুহুনী ও বাগবাড়ী এলাকায় অবস্থান নেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এদিকে কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা এক দফা দাবিতে শহরের ইলিশ চত্ত্বর এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে বলে জানায় আন্দোলনকারীরা। পরে পিছু হটে সরকার দলের সমর্থকরা। এ সময় আন্দোলনকারী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় ও এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া প্রেসক্লাব, রোজ গার্ডেন রেস্তোরাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসনের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।