মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকায় প্রকাশিত নামই বৈধ বা স্বীকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৮ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির প্রমাণক যাচাই/প্রত্যয়ন’ শিরোনামের চিঠিতে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ, ভর্তি, ব্যাংক ঋণ, চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকায় প্রকাশিত নামই বৈধ/স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত।
‘তাই সমন্বিত তালিকা যাচাই করে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হয়ে থাকলে পরবর্তী কার্যক্রম স্ব-স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বিবেচনা করবে। তবে সে ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্ম তারিখ ১৯৫৯ সালের ৩০ মে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর তারিখে ১২ বছর ৬ মাস কিংবা এর আগে হতে হবে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, উপর্যুক্ত বর্ণনা মোতাবেক কোনো প্রকার অস্পষ্টতা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, অধিদপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ এ মন্ত্রণালয়ে (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়) পত্রালাপ করতে পারবে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে একটি পরিপত্র বা নির্দেশনা জারি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অনুরোধ জানায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।